দেশের প্রতিদিনই ব্যাপক হারে বাড়ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ সংখ্যা হয়তো আরও বাড়তে পারে। কিন্তু আক্রান্তের হার বাড়লেও তাতে ‘বেশি ক্ষতিকর কিছু হবে না’ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘জরুরি কাজ ছাড়ও সাধারণ মানুষ অহেতুক বাইরে ভিড় করছেন। মানুষের জীবিকার তাগিদে সরকারও সীমিত পরিসরে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা খুলে দিয়েছে। আক্রান্ত বাড়ছে, আর বাড়তে পারে। তবে ‘বেশি ক্ষতিকর’ কিছু হবে না।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সদস্য নিয়োগ পাওয়া ৫ হাজার নার্সের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেই আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই কম। আমরা করোনা নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা গত ১ মাসে বহুগণ বৃদ্ধি করেছি। যার কারণেই এখন বেশিসংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যাচ্ছে।’
ডা. জাহিদ মালেক বলেন, ‘যত বেশি আক্রান্ত মানুষ শনাক্ত হবে, আক্রান্তের ঝুঁকিও তত কমবে। এই নমুনা পরীক্ষা খুব দ্রুতই ১০ হাজার এবং এরপর তা ১৫ হাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। এর জন্য সরকারের হাতে পর্যাপ্ত কিটও মজুত আছে।’
এসময় তিনি কোভিড-১৯ রোগীদের সেবায় আলাদা রকম দরদ দিয়ে নার্সদের কাজ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে ৫ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ দেয়ায় এখন চিকিৎসা খাতে ৪৩ হাজার নার্স যুক্ত হয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আরও ১৫ হাজার নার্স, মিডওয়াইফারি ও টেকনোলজিস্ট নিয়োগের অনুমোদন পাওয়া গেছে।
অনুষ্ঠানে নার্সিং অ্যান মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসূফ হারুন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সনাল ও বাংলাদেশে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।